জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় মো. রুবেল মিয়া (২৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। এর আগে গত সোমবার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রুবেল মিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার রাম গোপালপুর গ্রামের মো. আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ রাইস মিলের পাশে মো. সফিকুল ইসলামের (৩৮) বাড়িতে অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি কথিত ডিবির জ্যাকেট সাদৃশ্য পোশাক পরে ওয়ারলেস ও পিস্তলসহ শয়নকক্ষে প্রবেশ করে। বাড়িতে অবৈধ জিনিস আছে বলে বসতবাড়িতে তল্লাশির কথা জানায়। একই সঙ্গে আরও অজ্ঞাতনামা ৬ জন পিস্তল ও চাপাতিসহ বাদীর রুমে ঢুকে বাড়ির অন্য লোকজনদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। পরে লুঙ্গি ও গামছা দিয়ে সকলের হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে ফেলা হয়। পরে অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকা।
এ ঘটনার পর সফিকুল ইসলাম থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি কাশিমপুর থানা-পুলিশ প্রায় ২ মাস তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকার নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই গাজীপুর জেলার ওপর দেওয়া হয়। পিবিআইয়ের তদন্তকালে উক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে, রুবেল মিয়া ও অপর একজন পলাতক সহযোগী আসামি একই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। করোনার কারণে রুবেল মিয়ার চাকরি চলে যায়। এরপর তিনি অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। এ সময় তাঁদের দুজনের মধ্যে নানাভাবে সখ্যতা গড়ে ওঠে। কিছুদিন পর অপর সহযোগী আসামি কাজের জন্য আশুলিয়ার নরসিংহপুরে রুবেল মিয়াকে যেতে বলেন। পরে গত ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রুবেল মিয়াসহ ৮ জন সহযোগী আসামি মিলে নরসিংহপুর থেকে মাইক্রোবাসে করে কাশিমপুরের দিকে রওনা দেন। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁরা ডিবি পুলিশের জ্যাকেট পরে সফিকুলের বাড়িতে ঢোকেন। তারপর বাড়ির সকলকে জিম্মি করে ও বেঁধে রেখে ডাকাতি করেন।